শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি |
পুলিশ পেটানোর মামলায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রেমসাগর হাজরার জামিন না মঞ্জুর করে স্ব-পরিবারে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার আলী। প্রেমসাগর হাজরা ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তার বাবা ভানু হাজরা, মা জবা হাজরা, স্ত্রী তমসা রাণী মন্ডল, ভাই শিব সাগর হাজরা, রাহুল হাজরা, মেঘ লাল হাজরা ও চাচা রানা হাজরা। শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের সহকারী ব্যাবস্থাপক মাহমুদ হাসানকে পিটিয়ে আহত করার মামলায় পুলিশ গত ১৮ই নভেম্বর রাতে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ওই বাগানে প্রেমসাগর হাজরার বাসায় যায়। ওই মামলায় প্রেমসাগর হাজরা, তার বাবা-মা, ভাই ও চাচাকে আসামি করা হয়। প্রেমসাগর হাজরার বাবাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় বাসার আঙিনায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিরা। এসময় প্রেমসাগর হাজরা ও তার ৪ ভাই মিলে থানার এএসআই সায়েক আহমদকে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেয় এবং কনস্টেবল কাঞ্চন মিয়াকে আঘাত করে বাম কাঁধের হাড় ভেঙে দেয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধারের পর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় রাতেই সরকারী কাজে বাধা ও পিটিয়ে পুলিশকে আহত করার অভিযোগে শ্রীমঙ্গল থানায় পুলিশ বাদী একটি মামলা করে। এসআই গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ মামলার পর ভাইস চেয়ারম্যান প্রেমসাগর হাজরা হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন নেন। আজ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে নি¤œ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রকাশিত: ১২/০১/২০১৫ ৪:৩১ অপরাহ্ণ
আব্দুস সালাম, টেকনাফ:: সাগরপথে টেকনাফের বাহারছড়ায় মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে ...
পাঠকের মতামত